7 দিন এ ওজন কমানোর উপায় - how to lose weight in 7 days

Contents

7 দিন এ ওজন কমানোর উপায় এর জন্য সবসময় একটি স্বাস্থকর পদ্ধতি থাকে , এর জন্য একটি পরিকল্পিত এবং পূর্ণাঙ্গ পথ আছে যার মাধ্যমে খুব সহজে ওজন কমানো সম্ভব .

প্রথমত ওজন বাড়ার মূল কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ। খাবার প্রয়োজনের অতিরিক্ত হলেই শরীর সেটাকে মেদ হিসাবে জমিয়ে রাখবে.

তাই দ্রুত ওজন কমাতে চাইলে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়া আরও অনেক কারণেই ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে যেতে থাকে।

নিচে ওজন কমানোর উপায় গুলো দেওয়া হলো …

১. ওজন কমানোর উপায় হিসাবে সবচেয়ে কার্যকর ও সহজ পদ্ধতি হলো প্রচুর পরিমানে পানি পান করা, প্রচুর পরিমানে পানি পান করলে শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায় এবং শরীর সহজে গ্রহণ করতে সক্ষম হয়.

এছাড়া বেশি পরিমানে পানি পান করার কারণে শরীর থেকে সকল প্রকার বর্জ্য বের হয়ে যাই এবং চর্বি জমতে পারে না .

২. ওজন কমানোর জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ হলো হাঁটাচলা ব্যায়াম করা .এই উপায়ে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ৩০-৪৫ মিনিট হাঁটাচলা করলে দেহের ১৬০ ক্যালোরি পর্যন্ত খরচ হতে পারে .

চর্বি জাতীয় খাবার এ অতিরিক্ত চর্বি থাকার কারণে যত বেশি দ্রুত হাত যায় টোটো বেশি সাস্থের জন্য ভালো.

৩. সিঁড়ি  দিয়ে ওঠানামা করলেও ওজন  কমানো সম্ভব. এতে শরীর থেকে অতিরিক্ত ক্যালোরি খরচ হতে পারে যা ওজন  কমানোর অনবদ্দ উপায়ে হিসেবে বিবেচিত হয়.

৪. প্রোটিন  সমৃদ্ধ  খাবার খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় , যেমন অধিক পরিমানে শাক সবজি গ্রহণে ও বিভিন্ন প্রকার ফল-মূল ওজন কমাতে সাহায্য করে.

৫. মিষ্টি জাতীয় খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে. মিষ্টিজাতীয় খাবার ওজন বৃদ্ধি করে, এমনকি চিনিও ওজন বৃদ্ধিতে অনেকটা ভূমিকা পালন করে .

তাই চিনি জাতীয় খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকার মাদ্ধমে ওজন কমানো সম্ভব .

৬. গ্রিন টি  অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ওজন কমাতে খুবই কার্যকর. এটি পানের মাদ্ধমে শরীরের বাড়তি ওজন রোধ হয়. গ্রিন  টি শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়.

৭. অতিরিক্ত  ওজন  কমাতে পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুম  শরীরের উপকারী পদ্ধতি হিসাবে বিবেচিত হয়. সঠিক এবং পরিমিত পরিমানে ঘুম না হলে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়.

৮. শারীরিক  ব্যায়াম  শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলে, যার ফলে শরীরের অভ্যন্তরীন ফ্যাট ধীরে ধীরে কমতে থাকে, এছাড়াও শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরি পুড়িয়ে ফেলতে  শারীরিক  ব্যায়াম ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে.

উপরোক্ত উপায়গুলি অবলম্বনের মাদ্ধমে অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করা সম্ভব.

7 দিন এ ওজন কমানোর উপায় (how to lose weight in 7 days
Source – Dietburrp

অতিরিক্ত ওজনের ক্ষতিকর দিক

অতিরিক্ত ওজনের কারণে মানব শরীরে বিভিন্ন ধরণের রোগ ধীরে ধীরে বাসা বাঁধতে শুরু করে. আস্তে আস্তে অনেক কঠিন রোগ গুলো দেখা দিতে শুরু করে ,

যেমন হার্ট এটাক , স্টোক, উচ্চ রক্তচাপ , শাসকষ্ট , ডায়াবেটিস ইত্যাদি . এছাড়াও বাড়তি ওজনের কারণেও ব্যাক্তির মানসিক অবস্থান ও দিন দিন খারাপ হতে শুরু করে ..

বাড়তি ওজন কমানোর উপায় প্রাকৃতিক উপাদান :

* অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ গ্রিন টি ও আদা : গ্রিন টি সঙ্গে আদা মিশিয়ে পান করলে খুব সহজেই ওজন  কমানো সম্ভব. এটি হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শরীরে মাত্রা নিয়ন্ত্রন করে.

* লেবু চিনির চা : এটি পানের মাদ্ধমে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রনে থাকে যা খিদে নিবারণ করে. এবং এর সাথে মেদ কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে..

 

উপরোক্ত  বিষয়গুলো থেকে বলা যায়, শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রনে  রাখার মাদ্ধমে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করা সম্ভব. আমরা জানি যে ” স্বাস্থ্যেই সকল সুখের চাবিকাঠি ” তাই এদিকে  বিবেচনা করে নিজের  শরীর ও স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখতে হবে….

 

FAQ:

1)মেয়েদের ওজন কমানোর উপায় ?

প্রতিদিন  সকালে লেবুর মিষ্টি জল পান করলে শরীরের  অতিরিক্ত ওজন দ্রুত  কমাতে সাহায্য করবে, সেই সঙ্গে এই পানীয়টি আপনার ত্বক পরিষ্কার করবে, ব্রণ প্রতিরোধ করবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে।

সকালের নাস্তায় মাঝারি আকারের গমের আটার রুটি খান। এক কাপ রান্না করা সবজি রুটির সঙ্গে বা এক কাপ রান্না করা বুটের ডাল খান।

2) লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায় ?

তাদের মতে, প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে খেলে ওজন কমানো সম্ভব।

…কারণ লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি। এবং এটি হজমের জন্য খুবই উপকারী। আর এর ফলে শরীরের বাড়তি মেদ ঝরে যায়।

3) হেঁটে ওজন কমানোর উপায়

আপনি যদি সত্যিই হাঁটার মাধ্যমে ওজন কমাতে চান তবে আপনাকে কমপক্ষে 45 থেকে 60 মিনিট হাঁটতে হবে।

হিসাবটা সোজা, আপনি যত দ্রুত হাঁটবেন, প্রতি মিনিটে তত বেশি ক্যালোরি বার্ন হবে। আপনি যদি অলসভাবে হাঁটেন, আপনি প্রতি মিনিটে প্রায় 3 ক্যালোরি পোড়াবেন। … এবং হাঁটা ছাড়া সম্পূর্ণভাবে দৌড়াতে শুরু করলে ক্যালরি বার্নের হার বাড়তে থাকবে।

4) মেদ ও ওজন কমানোর উপায়

ডায়েটে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। উদাহরণস্বরূপ, লাল চাল বা লাল আটা এবং শাকসবজি এবং ফল থেকে তৈরি ফাইবার।

গ্রিন টি-তে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা পেটের  চর্বি কমাতে খুবই কার্যকরী। তাই  গ্রিন টিতে বেশি দুধ ও চিনি  দিয়ে চা পানের অভ্যাস পরিবর্তন করুন।

5) ডায়েট চার্ট বাংলা

দুপুরের খাবার (1.00 – 2.00) দুপুরে  ১ কাপ ভাত, ২টি রুটি, ১ বাটি ডাল ও ১ বাটি সবুজ  শাকসবজি  ১ টুকরো মাছ।

সপ্তাহে ২ দিন মুরগির মাংস খান। খাবার শেষে  টক  দই ও শসা। বাঁধাকপি, শিম, পটল, গাজর, উচ্ছে, ফুলকপি, পালং শাক, সরিষা শাক, গাজর, টমেটো ইত্যাদি সবজি ওজন কমানোর জন্য উপকারী।

6) ভাত খেয়ে ওজন কমানোর উপায়

সালাদ, ডাল ইত্যাদি ভাত খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেবে। এটি  আপনাকে  নিয়ন্ত্রণ করবে না জেনে বেশি না খাওয়া।

মনে রাখবেন, ভাত খেতে হলে  রাইস কুকারে রান্না করা ভাত বা বাসভট একেবারেই খাওয়া যাবে না। ভাতের সাথে আলুভার্তা বা আলুর তরকারি বাদ  দিন।

7) ব্যায়াম ছাড়া ওজন কমানোর উপায়

ওজন  কমাতে  চাইলে নিয়মিত পানি পান করা প্রথম ধাপ। পানি শুধু শরীরকে আর্দ্র  রাখে না, মেটাবলিজমও উন্নত করে।

পানি পান করলে দীর্ঘ সময় ক্ষুধার্ত থাকতে পারেন, ফলে খাবার গ্রহণের পরিমাণ কমে যায়। এছাড়া নিয়মিত পানি পান করলে শরীরে জমে থাকা টক্সিন বের হয়ে যায়।

8) মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট / মেয়েদের ডায়েট চার্ট ভুড়ি কমানোর

1 টুকরো  মাছ/মাংস: এক টুকরো  মাঝারি আকারের  মাছ/মাংস  শরীরের আমিষের চাহিদা মেটাবে।

১ কাপ সবজি: কম তৈলাক্ত বা তৈলাক্ত সবজি অনেকটাই চর্বি কমায়। ১ কাপ সবজি অবশ্যই ডায়েট চার্টে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কাঁচা সবজির সালাদ  রাখা ভালো।

9) তলপেট কমানোর উপায়

আপনার  যদি গরম পানিতে লেবু খেতে বেশি  কষ্ট হয় তবে আপনি এতে এক  চা চামচ মধু যোগ করতে পারেন। সকালে পানীয় হিসাবে জিরা  জল পান করুন।

এটি হজমে সাহায্য করে, ফোলাভাব কমায় এবং পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। প্রোটিন শরীরে শক্তি জোগাতে ভূমিকা রাখে।

10) ওজন কমানোর ব্যায়াম

সাইকেল  চালানো: সাইকেল চালানো ওজন কমানোর আরেকটি  দুর্দান্ত উপায়।প্রতিদিন এক ঘন্টা সাইকেল চালানো 400-650 ক্যালোরি পর্যন্ত পোড়ায়।

Pilates: বলিউডের অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী তাদের শরীরকে পিলেটের মাধ্যমে  ফিট রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে যে Pilates  মূলত  উচ্চ প্রভাব, উচ্চ শক্তি আউটপুট এবং ভারী পেশী এবং কঙ্কাল লোডিং এড়ায়।

11) ওজন কমানোর খাবার তালিকা

দুপুরে ১ কাপ  ভাত, ২টি  রুটি, ১ বাটি  ডাল ও ১ বাটি  সবুজ শাকসবজি  ১ টুকরো মাছ। সপ্তাহে ২ দিন মুরগির মাংস খান। খাবার শেষে টক দই ও শসা।

বাঁধাকপি, শিম, পটল, গাজর, উচ্ছে, ফুলকপি, পালং শাক, সরিষা শাক, গাজর, টমেটো ইত্যাদি সবজি ওজন কমানোর জন্য উপকারী।

12) প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর উপায়

পানি পান: ওজন কমানোর  অন্যতম উপায় হলো পানি পান করা। পর্যাপ্ত  জল শরীরকে দূষিত  পদার্থগুলি ধুয়ে ফেলতে সাহায্য করে পাশাপাশি  হজমশক্তি বাড়ায়।

প্রতিদিন অন্তত আট গ্লাস পানি পান করুন। পর্যাপ্ত ঘুম: শরীরের স্বাভাবিক কাজকর্ম  ঠিক রাখতে এবং বিশ্রামের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন।

 

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *